সাধারণত মুষলধারে বৃষ্টি বোঝাতে ইংরেজিতে বলা হয় 'রেইনিং ক্যাটস এন্ড ডগস'। রূপক অর্থেই এটি বলা হয়, কারণ বৃষ্টির সাথে আকাশ থেকে কখনোই বিড়াল বা কুকুর পড়ে না। তবে, ইরানের ক্ষেত্রে 'ইট রেইনিং ফিশ' বললে খুব একটা ভুল হবে না। বাস্তবেও ঘটেছে তাই, বৃষ্টির সাথে আকাশ থেকে পড়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে জীবন্ত মাছ!
বৃষ্টির সাথে জীবন্ত মাছ পড়ার মতো এ বিরল ঘটনা ঘটেছে ইরানের ইয়াসুজ অঞ্চলে। সোমবার মাছ বৃষ্টির সেই ভিডিও ভাইরালও হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে।
ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বৃষ্টির মধ্যে ইয়াসুজ অঞ্চলের একটি রাস্তা দিয়ে স্বাভাবিক গতিতেই যানবাহন যাতায়াত করছে। ঠিক সে সময় বৃষ্টির সাথে আকাশ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে জীবন্ত মাছ পড়তে শুরু করে। মাছগুলো গাড়ির ওপর ও রাস্তায় পড়ার পরপরই নড়াচড়া শুরু করে, যেন মাত্র সেগুলোকে পানি থেকে বের করা হয়েছে।
যে ব্যক্তি নিজের মোবাইলে সেই ভিডিও রেকর্ড করছিলেন তিনি এক সময় কয়েকটি মাছ হাতে তুলে নেন এবং দেখান মাছগুলো তখনও বেঁচে আছে ও নড়াচড়া করছে।
তবে বিরল হলেও মাছ বৃষ্টি একেবারেই নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর আগে বাংলাদেশসহ বিশ্বের বহু দেশে এ ধরনের বৃষ্টি দেখা গেছে। অনেক অঞ্চলে সাপ বৃষ্টির ঘটনাও ঘটেছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, কিছুটা অবাস্তব মনে হলেও এসব ঘটনার পিছে বৈজ্ঞানিক কারণ রয়েছে। সাধারণত টর্নেডোর কারণে মাছ বৃষ্টি হয়। এই ধরনের টর্নেডোগুলোকে বলা হয় 'ওয়াটারস্পাউট'।
টর্নেডোর সময় জলাশয়ের পানির সাথে সাথে এর মধ্যে থাকা মাছ বা ছোট জলজ প্রাণী আকাশে উঠে যায়। তারপর মেঘের মতোই আকাশে পানি সমেত সেগুলো ভাসতে থাকে। যথেষ্ট পরিমাণ পানি এবং অক্সিজেন থাকায় মাছগুলো সেখানেও ভালোভাবেই বেঁচে থাকে। পরে কাছে কিংবা কয়েক কিলোমিটার দূরে গিয়ে এক সময় আবার বৃষ্টির সাথে জীবন্ত মাছ ঝরে পড়ে।