মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিন হাজার ১৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন চার হাজার ৫৮৯ জন। এছাড়া এখনও অন্তত দুই শতাধিক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবার মিয়ানমারের তথ্যমন্ত্রী মং মং ওহনের বরাতে বার্তাসংস্থা এপি এসব তথ্য জানিয়েছে।
স্থানীয় সংস্থার পাশাপাশি একাধিক আন্তর্জাতিক একাধিক সংস্থাও উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা বলছেন, ভূমিকম্পের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে মানুষের আশ্রয়, খাদ্য ও পানি জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু দেশজুড়ে গৃহযুদ্ধ চলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সহায়তা পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে। আশ্রয়, খাদ্য ও পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
আন্তর্জাতিক উদ্ধার কমিটি (আইআরসি) জানিয়েছে, মান্ডালে এবং ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি এলাকাগুলোতে আশ্রয়, খাদ্য, পানি এবং চিকিৎসা সহায়তা খুবই জরুরি। এসব এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে সাগাইং শহরে প্রতি তিনটি বাড়ির মধ্যে একটি ধ্বংস হয়ে গেছে।
সংস্থাটি বলছে, ভূমিকম্পের আগেই দুই কোটি মানুষ মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল ছিলো। অপরদিকে দুর্যোগে নতুন করে ৩০ লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
এদিকে সামরিক জান্তা ও প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো ২২ এপ্রিল পর্যন্ত সাময়িক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে, যার মূল উদ্দেশ্য মানবিক সহায়তা স্বতস্ফুর্তভাবে পরিচালনা করা।
এর আগে শুক্রবার (২৮ মার্চ) স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটে দেশটিতে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর কেন্দ্রস্থল ছিলো দেশটির উত্তর-পশ্চিমের শহর সাগাইং থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে। এলাকাটি রাজধানী নেপিদো থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার উত্তরে।
ব্যাপক এই ভূমিকম্পের কম্পন অনুভূত হয়েছে মিয়ানমারের প্রতিবেশী থাইল্যান্ড, দক্ষিণ-পশ্চিম চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, লাওস, কম্বোডিয়া ও বাংলাদেশেও।