ঢাকা মহানগরীতে চলাচল করা বাসগুলোর মধ্যে নতুন করে আরও ১৫টি পরিবহন কোম্পানির বাসে ই-টিকেটিং চালু করতে যাচ্ছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) থেকে মোহাম্মদপুর, আজিমপুর ও গাবতলি অঞ্চলের ওই ১৫টি কোম্পানির ৭১১টি বাসে ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করা হবে।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ইস্কাটনে সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে থেকে এ কথা জানান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।
খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, শতভাগ ই-টিকেটিং সিস্টেম চালু করতে পেরেছি বলবো না, এখনো কিছু অনিয়ম রয়েছে। তারপরও মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) থেকে মোহাম্মদপুর, আজিমপুর ও গাবতলীতে ১৫ কোম্পানির ৭১১টি বাসে ই-টিকেটিং চালু হবে। এর ফলে ঢাকার মোট ৪৫টি কোম্পানি ই-টিকেটিংয়ের আওতায় আসবে।
পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ই-টিকেটিংয়ের জন্য একটি মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে বলে জানান সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, দু'জন কর্মকর্তা এটি সমন্বয় করবেন। এ জন্য একটি হটলাইন করা হয়েছে। যেখানে তিনটি নম্বর রয়েছে। সমিতির পক্ষ থেকে আটজনকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, যারা পুরো ঢাকা শহর ঘুরে ঘুরে বিষয়টি দেখবেন। পাশাপাশি কয়েকটি কোম্পানির পক্ষ থেকে তারাও স্পেশাল চেকার রাখবেন।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সূত্র বলছে, বর্তমানে মিরপুরকেন্দ্রিক ৩০ প্রতিষ্ঠানের দেড় হাজার বাসে ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু রয়েছে।
আরও পড়ুন: তেঁতুলিয়ায় পারদ নামলো সাতে, ঢাকার আকাশে সূর্যের দেখা
২০১২-১৩ সালে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) বাসে প্রথম ই-টিকেটিং ব্যবস্থার প্রচলন করে। তখন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) বাসে যাত্রীদের কাছ থেকে র্যাপিড পাসের মাধ্যমে ই-টিকিটে ভাড়া আদায় শুরু হয়।
যদিও দীর্ঘমেয়াদে এই ব্যবস্থা সফলতার মুখ দেখেনি। নতুন করে গত সেপ্টেম্বর থেকে ঢাকা সড়ক পরিবহন বাস মালিক সমিতি ই-টিকেটিং প্রথার প্রচলন করেছে।
একাত্তর/এসজে