ই-টিকেটিং চালু হলেও গণপরিবহনে নিয়ন্ত্রণে আসেনি ভাড়া নৈরাজ্য। মেশিন থাকলেও অনেক বাসেই কোনো টিকেট না দিয়েই চলছে ভাড়া আদায়।
যাত্রীদের অভিযোগ আছে, ভাড়া নৈরাজ্যের পাশাপাশি এখনও চালু আছে ওয়েবিলের কৌশলে বাড়তি ভাড়া আদায়। এনিয়ে তারা কোন প্রতিবাদও করতে পারছেন না।
তবে, গণপরিবহন মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, মেশিনের হিসেবের বাইরে যাত্রী নেয়া হচ্ছে কিনা সেটিও তারা যাচাই করছেন। কোন গাফলতি হলে ব্যবস্থা নেবেন তারা।
ভাড়া নৈরাজ্য কমাতে গেলো বছরের সেপ্টেম্বরে রাজধানীর বাসগুলোত ই-টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করে মালিক সমিতি। বলা হয়েছিলো ভাড়া নেয়ার পর সব যাত্রীকেই টিকেট দিতে হবে।
মিরপুর-১২ থেকে ঢাকেশ্বরীগামী মিরপুর সুপার লিংক; ঘাটারচর থেকে উত্তরাগামী প্রজাপতি ও পরিস্থান এবং গাবতলী-গাজীপুরগামী বসুমতি পরিবহনে এ পদ্ধতিতে ভাড়া আদায় শুরু হয়।
এই কার্যক্রম শুরুর সাড়ে চার মাস পরও ভাড়া নিয়ে যাত্রী হয়রানির অভিযোগ রয়েই গেছে। পাশাপাশি ডিভাইস থাকলেও সেটি ব্যবহার করে আগের মতোই কাটা হচ্ছে ভাড়া।
সেই সাথে ফিরে এসেছে এসেছে হয়রানির আরেক কৌশল ওয়েবিল প্রথা। শুধু তাই নয়, টিকিট ছাড়া ভাড়া আদায়ের কথা স্বীকার করলেন স্বয়ং বাসের সহকারিরা।
তবে, মালিক সমিতির দাবি কোন বাসে এখন ওয়েবিল নেই। আছে টাইম শিট। এই পদ্ধতিতে কোন স্টপেজে কখন গাড়ি থেমেছে ও কতো যাত্রী তোলা হয়েছে সেটি উল্লেখ থাকছে।
ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ভাড়া নিয়ে কোন অনিয়ম হচ্ছে কি না, তা নিয়মতি নজরদারি করছেন তারা।
ই-টিকেটে যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে জানিয়ে মালিক সমিতির এই নেতা বলেন, এই ক্ষেত্রে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
প্রথমে মিরপুরের ৩০ কোম্পানির বাসে চালু হয় ই-টিকিট। ৯ জানুয়ারি মোহাম্মদপুর, গাবতলী ও আজিমপুর রুটের আরও ১৫টি কোম্পানির বাসে এই পদ্ধতি চালু হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩টি কোম্পানির বাস আসবে এই পদ্ধতির আওতায়।
একাত্তর/এআর