আসছে কোরবানিকে ঘিরে পটুয়াখালীতে প্রস্তুত ‘মহারাজ’ গরু। তিন বছর দুই মাস বয়সী এই ষাঁড়ের ওজন ছয়শ’ কেজি। বিভিন্ন এলাকা থেকে গরুটিকে দেখতে ভিড় করছে মানুষ।
পটুয়াখালী সদর উপজেলার ছোটবিঘাই ইউনিয়নের পূর্ব মাটিভাঙ্গা গ্রামের কৃষক সন্তান বেল্লালের গরু এটি। এরইমধ্যে এটির দাম হাঁকা হয়েছে পাঁচলাখ টাকা।
ব্র্যাক অফিস থেকে শাহীওয়াল জাতের সাথে স্থানীয় গাভীর শংকর এই ষাঁড়ের মালিক কৃষক মান্নান ফকিরের ছেলে বেল্লাল হোসেন। চাকরির সুবাদে বেল্লাল থাকেন মুন্সীগঞ্জ, তাই তার বাবা মান্নানের ওপর ছিলো মহারাজকে লালন-পালনের ভার।
মান্নান ফকির জানান, গোসল করানো থেকে শুরু করে খাওয়ানো পর্যন্ত সবই করেছেন তিনি।
এবারের কোরবানির ঈদে মহারাজকে বিক্রি করতে চান বেল্লাল। তবে এখনও আশানুরূপ দাম না মেলায় এটি বিক্রি হয়নি।
এলাকাবাসীরা জানায়, তারা তাদের এলাকায় এমন গরু এবছর আর দেখেননি। মালিক এটির বেশ যত্ন করেছেন।
মান্নান ফকিরের মতোই খৈল-ভুষিসহ প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজা করেন পটুয়াখালীর খামারি ও কৃষকরা। আর এদিকটা দেখভাল করে প্রাণিসম্পদ বিভাগের স্থানীয় অফিস।
পটুয়াখালীর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস বলেছেন, আশা করি আমরা এবার শতভাগ নিরাপদ পশু নিশ্চিত করতে পারবো।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম ও মোংলায় একাত্তর টেলিভিশনের জন্মদিন উদযাপন
আসছে ঈদে পটুয়াখালী জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা এক লাখ ২৫ হাজার। এর বিপরীতে এক লাখ ৩০ হাজার গবাদিপশু প্রস্তুত করেছেন খামারি ও কৃষকরা।
একাত্তর/আরএ