বিগত দু’দিন নিজের জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করেছেন বলে জানিয়েছেন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। মঙ্গলবার বিকেলে কারামুক্ত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক স্ট্যাটাস তিনি একথা বলেন। একই সঙ্গে কারামুক্ত হয়ে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে নুসরাত ফারিয়ে জামিনে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে থেকে বের হন। কারাগার থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি এই অভিনেত্রী। এর আগে তার তার জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোস্তাফিজুর রহমান।
নুসরাত ফারিয়া জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর সুখবরটি ভক্তদের সঙ্গে ভাগাভাগি করেন ৪টা ২০ মিনিটে। তিনি ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, জীবনের সবচেয়ে মুমূর্ষু সময় পার করেছি এই দুইটা দিন। মানসিকভাবে খুবই ভেঙে পড়েছিলাম। সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা, যারা আমার পাশে ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার জন্য আজ কথা বলতে পারিনি। সুস্থ হয়ে খুব দ্রুত ফিরে আসব আপনাদের মাঝে।
তিনি আরও লেখেন, আমার সহকর্মী থেকে শুরু করে ইন্ডাস্ট্রির সবাই, এমনকি আপামর সাধারণ মানুষ যারা আমার হয়ে কথা বলেছেন, ন্যায়ের পক্ষে কথা বলেছেন, পাশে থেকেছেন তাদের এই সাপোর্ট/ভালোবাসা আমি আজীবন মনে রাখবো। আপনারা পাশে না থাকলে হয়তো এত দ্রুত আপনাদের মাঝে উপস্থিত হতে পারতাম না।
গণমাধ্যমকর্মীদের বিশেষভাবে ধন্যবাদ দিয়ে নুসরাত ফারিয়ে লেখেন, এই সাপোর্টটা ভীষণ দরকার ছিল। আমি সব সময় মনে রাখব আমার প্রতি আপনাদের ভালোবাসার কথা।
হত্যাচেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তার অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়াকে সোমবার আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে মঙ্গলবার সকালে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন। দুপুর ১২টার দিকে জামিনের কাগজ কারাগারে পৌঁছায়। যাচাই-বাছাই শেষে তাকে স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রোববার সকালে থাইল্যান্ডে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে নুসরাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে ডিবি কার্যালয়ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থান চলাকালে গত ১৯ জুলাই রাজধানীর ভাটারা এলাকায় গুলিবিদ্ধ হন এনামুল হক।
গত ৩ মে এনামুল হক ঢাকার সিএমএম আদালতে ২৮৩ জনের বিরুদ্ধে নালিশি মামলা করেন। এর মধ্যে নুসরাত ফারিয়াসহ ১৭ অভিনেতা-অভিনেত্রীকে আসামি করা হয়। আদালতের নির্দেশে মামলাটি ৩ মে এজাহার হিসেবে রেকর্ড হয়। মামলার দুই সপ্তাহ পর গ্রেপ্তার করা হয় নুসরাতকে।