বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকায় শীর্ষে থাকা ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কির উত্তরে একটি স্কুলে ১২ বছরের সন্দেহভাজন শিশু শিক্ষার্থীর গুলিতে একজন নিহত ও দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। মঙ্গলবারের এই ঘটনায় হতাহতদের সবাই একই স্কুলে শিক্ষার্থী বলে প্রথামকিভাবে জানিয়েছে হেলসিঙ্কি শহর কর্তৃপক্ষ।
ফিনল্যান্ডের চতুর্থ বৃহত্তম শহর ভান্তার ভিয়েরতোলা স্কুলে প্রায় ৮০০ শিক্ষার্থী এবং ৯০ জন শিক্ষক ও কর্মী রয়েছে। এক থেকে ৯ গ্রেড, অর্থাৎ সাত থেকে ১৫ বছর বয়সীরা এই স্কুলে যায়। সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের বাড়ির ভেতরে থাকার অনুরোধ জানান।
স্কুলের একটি ভবন পুলিশ ঘিরে রেখেছে। কয়েকশ’ মিটার দূরে স্কুলের আরেকটি ভবন থেকে বাবা-মা নিজ নিজ সন্তানদের গ্রহণ করেছেন। স্কুল থেকে দূরে সিলতামাকি এলাকা থেকে পুলিশ কোনো ধরণের জোরজরবদস্তি ছাড়াই সন্দাহভাজন অস্ত্রধারী শিশু এবং তার আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করেছে।
এ সময় সন্দেহভাজন ওই শিশুকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। পুলিশের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, আহতদের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত আরও কোনও তথ্য জানাতে পারেননি তিনি।
পূর্ব উসিমা পুলিশ বিভাগের প্রধান ইলক্কা কোসকিমাকি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন সকাল ন’টার পরে, এক স্কুলে একটি গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে, এতে স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী মারা যায়। আর, দুই জন শিক্ষার্থী গুরুতরভাবে জখমের শিকার রয়েছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহভাজন শিশু শিক্ষার্থী নিজের দোষ স্বীকার করেছে। তাকে সোশ্যাল সার্ভিসের কেয়ারে পাঠানো হবে। বয়স খুব কম হওয়ায় তাকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না।কী কারণে শিশুটি তার সমবয়সী অন্য শিশুদের গুলি করেছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।