চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের চলমান শুল্কযুদ্ধের মধ্যেই বেইজিংয়ের সাথে বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করছে ইরান। চলতি বছরের মার্চ মাসে ইরান থেকে চীনে রেকর্ড পরিমাণ তেল রপ্তানি হয়েছে। যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদ সংস্থা 'মিজান' এর বরাত দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, তেহরানের বিরুদ্ধে নতুন করে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের অর্থনীতির ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে -এমন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যেই তেল রপ্তানি বৃদ্ধির খবর সামনে এসেছে।
জাহাজ ট্র্যাকিং কোম্পানি ভর্টেক্সার তথ্য অনুসারে, মার্চ মাসে ইরান থেকে চীনে তেল আমদানি প্রতিদিন ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন ব্যারেল ছাড়িয়ে গেছে, যা ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এই তথ্য চীনের শানডং প্রদেশের ইন্ডিপেন্ডেন্ট রিফাইনারি সেন্টারে মজুদের মাত্রা বৃদ্ধির সাথে মিলে যায়।
তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ সংস্থা কেপলার বলছে, মার্চ মাসে চীনে ইরানের তেলের গড় রপ্তানি ছিলো প্রতিদিন ১ দশমিক ৭১ মিলিয়ন ব্যারেল যা ফেব্রুয়ারি মাসের রপ্তানির চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি এবং গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। ফেব্রুয়ারিতে ইরান থেকে চীন প্রতিদিন গড়ে ১ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ব্যারেল জ্বালানি তেল আমদানি করেছে।
চীনে ইরানি তেল রপ্তানি প্রবাহের উপর নজরদারিকারী আরও দুটি সূত্র থেকে প্রায় একই তথ্য পাওয়া গেছে। একটি সূত্র বলছে, তাদের ধারণা মার্চ মাসে প্রতিদিন গড়ে ১ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন জ্বালানি তেল ইরান থেকে আমদানি করেছে চীন। অন্য সূত্র মতে, সম্ভবত গড়ে দৈনিক ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন ব্যারেল জ্বালানি তেল আমদানি করেছে চীন।
কেপলারের তথ্য অনুসারে, মার্চ মাসে চীনের সমুদ্রপথে আমদানি করা অপরিশোধিত তেলের ১৬ শতাংশই ছিলো ইরানি তেল।
ভার্টেক্সারের একজন জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক লি বলেছেন, ব্যবসায়ীরা অদূর ভবিষ্যতে তেল সরবরাহ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করেছেন। এ কারণেই ইরানি তেল কেনার ক্ষেত্রে চীন তাড়াহুড়ো করছে।
সংস্থাটির রিপোর্ট অনুসারে, ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চ মাসে চীনের শানডং প্রদেশে মোট অন-শোর বা স্থল মজুদ ২২ মিলিয়ন ব্যারেল বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ইরান থেকে আমদানি বৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।