ক্ষুদ্র এবং অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্বার্থে চলমান লোডশেডিং বন্ধ রাখার দাবী জানিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। বৃহস্পতিবার রাজধানীর মগবাজারে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠনটি তাদের বিভিন্ন মতামত এবং দাবী তুলে ধরে বলেন, রাত আটটার বদলে ৯ টা পর্যন্ত মার্কেট খোলা রাখা হোক।
সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা অভিযোগ করে বলেন, রাত আটটা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকলে তাদের বেচাবিক্রি কম হয়। এছাড়াও, প্রায় ৭০ ভাগ দোকানেই বেচাবিক্রি কম হওয়ায় চরম অর্থ সংকটে পড়ছেন তারা। বলছেন, কর্মচারী খরচ, বিদ্যুৎ বিল এবং দোকান ভাড়াসহ আর যতো খরচ বহনে বেগ পাচ্ছেন তারা।
এছাড়াও, সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতা হেলাল উদ্দিন বলেন, রাত ৮টার মধ্যে দোকান বন্ধ করা এবং দৈনিক ১ থেকে ২ ঘণ্টা লোডশেডিং ব্যবসায়ীদের জন্য মরার উপর খাড়ার ঘা! লোডশেডিং থেকে সরে এসে পার্শবর্তী দেশগুলোর দামের সাথে সামঞ্জস্য রেখে, জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয়ের দাবীও জানান হেলাল উদ্দীন।
সরকারের দেয়া প্রণোদনা থেকেও ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বঞ্চিত হন। যা, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ব্যবসাবান্ধব বাংলাদেশ গড়ার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলেও মনে করে, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখেছেন একাত্তর টেলিভিশন। কথা হয় সেলসম্যান শাহিন সরকারের সঙ্গে। বলছেন, ২৩ বছর ধরে মগবাজার ওয়ারলেসে ব্যাবসা করে আসছে, ল্যান্ড মার্ক নামের একটি প্রতিষ্ঠান। মূলত ছেলেদের শার্ট, টি-শার্ট আর প্যান্ট বিক্রি করে এই প্রতিষ্ঠান। করোনার ধাক্কা যখন একটু একটু করে কাটিয়ে উঠছে ঠিক তখনই শুরু হয়েছে লোডশেডিং। ফলে বেশ ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানটিকে।
ল্যান্ড মার্কের পাশেই অবস্থিত ফাস্ট ফুড, ‘মিঠাই’য়ের আউটলেট। আউটলেটে রাখা, শতাধিক আইটেমের খাবারের মধ্যে অর্ধেকই পচনশীল। যেগুলো, নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় না রাখলে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে, দীর্ঘক্ষণ বিদ্যুৎ না থাকলে, খাবার যেমন নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে, তেমনি লোডশেডিংয়ের সময় ক্রেতাও আসছে না।
আর এসব দোকানে কর্মরতদের দাবী, লোডশেডিংয়ে ল্যান্ড মার্ক আর মিঠাই’য়ের মতো সারাদেশে ছোট-বড় প্রায় ৫৪ লাখ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই এখন একই চিত্র!
একাত্তর/ এনএ