আমাজন বন উজাড় বন্ধ করার জন্য ঐক্যমত্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার আটটি দেশ। এ নিয়ে একটি জোট গঠন করলেও, বন সংরক্ষণের লক্ষ্যগুলো অর্জনে একাই কাজ করতে হবে দেশগুলোকে।
আমাজন রক্ষায় ব্রাজিলের বেলেম শহরে দুইদিনের শীর্ষ সম্মেলনে মিলিত হয়েছেন এসব দেশের প্রতিনিধিরা। গত ১৪ বছরে এটি এ ধরণের প্রথম সমাবেশ।
আমাজন সংরক্ষণ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার প্রচেষ্টার একটি কেন্দ্রীয় অংশ।
শীর্ষ সম্মেলনের আগে, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা ২০৩০ সালের মধ্যে বন উজাড় বন্ধ করার একটি সাধারণ লক্ষ্যের আহ্বান জানান, যে নীতি তার সরকার ইতোমধ্যেই গ্রহণ করেছে৷
বিশ্বের বৃহত্তম রেইনফরেস্ট আমাজনের প্রায় ৬০ শতাংশ ব্রাজিলে অবস্থিত। সমাবেশে প্রতিনিধিত্বকারী অন্যান্য দেশগুলো হলো বলিভিয়া, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর, গায়ানা, পেরু, সুরিনাম এবং ভেনিজুয়েলা।
মঙ্গলবার তার উদ্বোধনী বক্তৃতায়, লুলা ‘জলবায়ু সংকটের গুরুতর অবনতি’ সম্পর্কে কথা বলেন ‘আমাদের যুগের চ্যালেঞ্জগুলো এবং সেগুলো থেকে উদ্ভূত সুযোগগুলো আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার দাবি রাখে’।
লুলা প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে ব্রাজিলে বন উজাড় ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। তার পূর্বসূরি জাইর বলসোনারো বন সংরক্ষণের পরিবর্তে উন্নয়নের পক্ষপাতী ছিলেন।
বেলেম ঘোষণা নামে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন জোটের লক্ষ্য হবে ‘ফিরে না আসার মতো জায়গায় পৌঁছানো থেকে আমাজনকে রোধ করা’।
এতে পানি ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্য, টেকসই উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে সাধারণ আলোচনার অবস্থানের মতো বিষয়ে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে মতের অমিল দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: মস্কোর দিকে রওনা হওয়া দুই ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো চান অন্য দেশগুলো নতুন তেল অনুসন্ধানে নিষেধাজ্ঞার প্রতিশ্রুতি দিক। তবে আমাজন নদীর মুখে নতুন তেলক্ষেত্র অনুসন্ধান করতে চায় ব্রাজিল।
তবে মতানৈক্য থাকলেও, এই সম্মেলন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় এই অঞ্চলের মানুষকে একটি কথা বলার প্ল্যাটফরম দিয়েছে। এটিকে ২০২৫ সালে জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনের অগ্রদূত হিসেবেও দেখা হচ্ছে, যেটি বেলেমেই অনুষ্ঠিত হবে।
একাত্তর/এসজে