ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে ৭২ জনের নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নেয়ার পরদিন সোমবার বুঝে নিয়েছেন নিজ নিজ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব। মোদীর নতুন মন্ত্রিসভার ঠাঁই হয়নি আগের আমলের অনেক পরিচিত মুখের, বিশেষ করে বাদ দেয়া হয়েছে বাজে পারফর্মেন্স দেখানো মন্ত্রিদের।
আবার কেউ এবারের লোকসভা নির্বাচনে না জিতেও মোদীর মন্ত্রিসভায় রয়েছেন। নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় পূর্ণ মন্ত্রী আছেন ৩০ জন। ৩৬ জন শপথ নিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে। আর পাঁচ জন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী, অর্থাৎ তাদের মাথার উপরে কোন পূর্ণমন্ত্রী রাখা হয়নি।
মোদীর দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় অন্যতম মুখ ছিলেন অনুরাগ ঠাকুর। ২০২১ সালে পূর্ণমন্ত্রী হিসাবে পদোন্নতি পেয়ে ছিলেন। তথ্য ও সম্প্রচার দায়িত্ব সামাল দিয়েও এবারের ভোটেও হিমাচলের হামিরপুর থেকে জিতেছেন। তবে তৃতীয় মন্ত্রিসভায় আপাতত জায়গা হয়নি অনুরাগের।
বিজেপির ভেতরের সূত্র জানিয়েছে, হিমাচল প্রদেশে থেকেই জিতে আসা দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়ায় অনুরাগকে বাদ পড়তে হয়েছে। শুধু অনুরাগই নয়, তাঁর মতো জিতেও এবার মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন না রবিশঙ্কর প্রসাদ ও রাজীবপ্রতাপ রুডি।
টানা দুই মেয়াদে মন্ত্রিসভায় থাকা বর্ষীয়ান নেতা পুরুষোত্তম রূপালা এবার বাদ পড়েছেন। বিপুল ভোটে জয়ী হয়েও ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি। মোদীর দ্বিতীয় মন্ত্রিসভায় থাকা নারায়ণ রানেও জায়গা পাননি। মহারাষ্ট্রের এই সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ভোটে জিতেও মন্ত্রিসভায় সুযোগ হয়নি।
অন্যদিকে, নির্বাচনে হেরেও মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন রাভনীত সিং বিট্টু। এবারের লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে কংগ্রেস থেকে রাভনীত বিজেপিতে যোগ দেন। এর আগে কংগ্রেসের টিকিটে ২ বার লুধিয়ানা থেকে সংসদ সদস্য হয়েছেন। বিজেপি তাঁকে লুধিয়ানা থেকেই প্রার্থী করেছিলো।
কিন্তু, পাঞ্জাব কংগ্রেসের সভাপতি অমরিন্দর রাজা সিংয়ের কাছে হেরে যান রাভনীত। তারপরও তাঁকে মন্ত্রিত্ব দিয়েছেন মোদী। তবে ছয় মাসের মধ্যে লোকসভা কিংবা রাজ্যসভার সদস্য হতে হবে তাঁকে। তবে বিজেপি সূত্র জানিয়েছে, পাঞ্জাবে শক্তি বাড়াতে রাভনীতকে হারাতে চাইবে না বিজেপি।
লোকসভা বা রাজ্যসভার সদস্য না হয়েও মন্ত্রিসভায় জায়গা পেয়েছেন জর্জ কুরিয়েন। কেরালা বিজেপি শাখা সামাল দেন তিনি। এই প্রথম কেরালা থেকে কোনও লোকসভা আসন জিতেছে বিজেপি। তারই পুরস্কার পেয়েছেন তিনি, যদিও কুরিয়ান নিজে নির্বাচনে জিততে পারেননি।