ভারতের কলকাতা, আগরতলা এবং মুম্বাইয়ের পর, এবার দেশটির তামিলনাড়ু রাজ্যের চেন্নাইয়ে বাংলাদেশ বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ১০০ নারীসহ ৫০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিক্ষোভে অংশ নেয় বিজেপি, আরএসএস, এবিভিপি, হিন্দু মুন্নানি এবং অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সমর্থকরা।
অনুমতি ছাড়া বিক্ষোভ করার অভিযোগে ইতোমধ্যেই চেন্নাই পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। আটকদের মধ্যে নারী এবং বিভিন্ন সংগঠনের সমর্থকরাও রয়েছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বুধবার চেন্নাইয়ের উপকূলবর্তী রাজা রথিনাম স্টেডিয়ামের সামনে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি তোলেন। বিক্ষোভ শেষে তারা আন্না সালাইয়ের দিকে মিছিল করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের আটক করে।
বিক্ষোভস্থলটি অলওয়ারপেটে অবস্থিত বাংলাদেশ উপ হাইকমিশন থেকে সাত কিলোমিটার দূরে। স্থানীয় সাংবাদিকদের দাবি, বিক্ষোভকারীরা উপহাইকমিশনের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেনি।
বিক্ষোভের কারণে এজমোরের রুকমণি লক্ষ্মীপতি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে ১৫০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। প্রতিবাদকারীরা যাতে নিরাপত্তা বলয় ভেঙে মিছিল চালিয়ে যেতে না পারেন, সেজন্য রাস্তার বিভিন্ন প্রান্তে ব্যারিকেড বসানো হয়।
বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছেন হিন্দু মুন্নানি সংগঠনের প্রধান রাজু। এছাড়া, সাবেক রাজ্যপাল তামিলিসাই সৌন্দরাজান, আরএসএস কর্মী কেশভা বিনয়াগম, বিজেপি নেতা কারু নাগরাজন ও ভিপি দুরাইস্বামী এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, কয়েক বছর আগে চেন্নাইয়ে বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন চালু করা হয়। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যে এ ধরনের বিক্ষোভ পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে তুলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।