ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর এই নিয়ে তিনবার হুগলি জেলার ফুরফুরা দরবার শরিফে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বিকেলে ফুরফুরা শরিফের ইফতার মাহফিলে যোগ দিয়ে সম্প্রীতির বার্তাও দিয়েছেন তিনি। মমতা বলেন, সম্প্রীতি, শান্তি, ঐক্যই আমাদের বার্তা।
মুখ্যমন্ত্রী হবার পরে এই নিয়ে তৃতীয়বার ফুরফুরায় গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার স্থানীয় সময় বিকেল পাঁচটার দিকে হুগলির ফুরফুরা দরবার শরিফে যান তিনি। প্রথমবার গিয়েছিলেন ২০১২ সালে। এর পর দ্বিতীয়বার ২০১৬ সালে বিধানসভা ভোটের আগে মমতা ফুরফুরায় গিয়েছিলেন।
এ দিন তিনি ইফতারে যোগ দিতে সেখানে যান। মাহফিলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি খ্রিষ্টানদের অনুষ্ঠানেও যাই, ঈদ মোবারকেও যাই, নিজে ইফতার করি, পাঞ্জাবিদের গুরুদ্বারে যাই, গুজরাটিদের ডান্ডিয়া নাচেও যাই। আমি মনে করি, বাংলার মাটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মাটি। সকলের হয়ে আজ দোয়া করলাম।
হুগলিতে একটি পলিটেকনিক কলেজ এবং পীরজাদা আবু বকর সিদ্দিকির নামে ১০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে সব ধর্মের মিলনক্ষেত্র। এখানে সব মানুষ সমান।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফুরফুরায় যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীদের একাংশ। এ দিন তাদেরও জবাব দেন মমতা। তিনি বলেন, যখন কাশী-বিশ্বনাথে যাই তখন তো কেউ প্রশ্ন তোলেন না? কালীপুজো, দুর্গাপুজোয় গেলে প্রশ্ন তোলেন না? বাংলার মাটি সম্প্রীতির মাটি।
সম্প্রতি সংখ্যালঘুদের নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর ও রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর মন্তব্য নিয়ে যে চর্চা শুরু হয়েছে তা ভালোভাবে নেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দাবি রাজনৈতিক মহলের। বিধানসভায় দাঁড়িয়ে সর্বধর্ম সমন্বয়ের পাঠ দিয়েছিলেন তিনি।
অন্যদিকে, ইতিমধ্যেই হুমায়ুন কবীরকে শোকজ করেছিল তার দল। সব মিলিয়ে বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফুরফুরা সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।