মণিপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে সাড়ে ২৮ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। পূর্ব ইম্ফল জেলার বঙ্গজাং এবং ইথাম গ্রামের কাছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ একটি দল সব মিলিয়ে মোট সাতটি আইইডি বিস্ফোরক খুঁজে পায়।
বঙ্গজাং এবং ইথাম গ্রামের কাছে সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুর বিস্ফোরকগুলি খুঁজে বের করে। ওই বিস্ফোরকগুলি ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা নিষ্ক্রিয় করেছেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে সেনাবাহিনী। খবর আনন্দবাজার’র।
এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয় করার ঘটনাকে একটি বড় সাফল্য হিসাবেই দেখছে ভারতীয় সেনারা। এই সাফল্যের ফলে অনেক প্রাণহানি ঠেকানো সম্ভব হয়েছে বলে জানান তারা।
গত তিন মাসে বিস্ফোরক উদ্ধারের দিক থেকে নিরাপত্তাবাহিনীর দ্বিতীয় বৃহত্তম সাফল্য এটি। এর আগে গত ২০ জুলাই ৩৩ কেজি আইইডি বিস্ফোরক উদ্ধার করে সেগুলি নিষ্ক্রিয় করেছিল সেনাবাহিনী। সেবারও এই পূর্ব ইম্ফল জেলা থেকেই বিস্ফোরকগুলো উদ্ধার হয়। সাইচাংয়ের পাহাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার হয়েছিল ওই বিস্ফোরকগুলি।
মনিপুরের তপ্ত পরিস্থিতি সামলাতে এক প্রকার হিমশিম খাচ্ছে নিরাপত্তাবাহিনী। সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকে নতুন করে পরিস্থিতি অশান্ত হওয়ার পর একাধিক মৃত্যু হয়েছে, এখনও রক্ত ঝরেছে। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এ বিবৃতি দিয়ে জানানো হল বিস্ফোরক উদ্ধারের কথা।
মণিপুরের মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে কংপোকপি এবং পশ্চিম ইম্ফলের দুই জায়গায় ড্রোন হামলাকে কেন্দ্র করে সেপ্টেম্বরে নতুন করে তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। দুইটি হামলাই হয়েছিল মেইতেই জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকায়। রাজ্যের সরকার দাবি করেছিল, কুকি জঙ্গিরাই ওই হামলা চালিয়েছে।
সম্প্রতি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মৈরেম্বাম কৈরেং সিংহের বাড়ির চত্বরে রকেট ছুড়েও হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। পাশাপাশি মণিপুর রাইফেলসের দ্বিতীয় ও সপ্তম ব্যাটালিয়নের অস্ত্রাগার লুটের চেষ্টারও অভিযোগ উঠেছিল একদল দুষ্কৃতিকারীর বিরুদ্ধে।