ভয়াবহ নির্যাতনে শিকার গৃহকর্মী কল্পনার ক্ষতিগ্রস্ত আটটি দাঁত প্রতিস্থাপন করেছেন এক দন্তচিকিৎসা দম্পতি। প্রায় লাখ টাকার চিকিৎসা বিনামূল্যে করেছেন ডাক্তার রাকিবুল হাসান মুরাদ ও সুরাইয়া ইয়াসমিন।
তাঁরা বলেছেন, কল্পনার জন্য সরকার ও দেশের মানুষ যেভাবে এগিয়ে এসেছে, সেখানে চিকিৎসক হিসেবে অসহায় এই মেয়েটির মুখে হাসি ফিরিয়ে দিতে পারাটা তাঁদের জন্যেও গর্বের বিষয়।
বসুন্ধরা এলাকায় ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার কল্পনার শারীরিক ক্ষত তিনমাসের চিকিৎসায় এখন অনেকটাই সেরেছে। গৃহকর্ত্রী আদুরির অমানুষিক নির্যাতনে কল্পনার মোট আটটি দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এরমধ্যে চারটি দাঁত ছিলো কৃত্রিম। চারটি স্থায়ী ও ক্ষতিগ্রস্ত আরও চারটি দাঁত প্রতিস্থাপনে দরকার ছিলো প্রায় লাখ টাকা।
একাত্তর টেলিভিশনে কল্পনার নির্যাতনের খবর দেখে রাকিবুল হাসান মুরাদ ও সুরাইয়া ইয়াসমিন দম্পতি এগিয়ে আসেন কল্পনার দাঁতের চিকিৎসায়। পাঁচ দিনের চিকিৎসায় স্থাপন করা হয় কল্পনার আটটি দাঁত।
শারীরিক ক্ষত শুকানোর পর স্থায়ী দাঁত ফিরে পেয়ে কল্পনার মুখের হাসি যেনো আর থামছিলো না। কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন চিকিৎসকসহ সবার প্রতি।
চিকিৎসক দম্পতি বলছে, কল্পনার নতুন জীবনে ফেরার এই যাত্রায় তাদের এই অংশগ্রহণ টাকার অঙ্ক দিয়ে পরিমাপ করার নয়।
শুধু কল্পনা নয়, রানা প্লাজা থেকে শুরু করে করোনা কালে সাধ্যমতো অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন এই চিকিৎসক দম্পতি। ভবিষ্যতে কল্পনার দাঁতের যে সকল ফলোআপ চিকিৎসাও বিনামূল্য করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই চিকিৎসক দম্পতি।