ইউক্রেনের মাটিতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনের সমুদ্র সক্ষমতা বৃদ্ধি ও শক্তিশালী করার জন্য ইউক্রেনকে দুইটি মাইনহান্টার যুদ্ধজাহাজ দিতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্য। ব্রিটিশ নৌবাহিনী রয়েল নেভির বরাত দিয়ে ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ খবর জানিয়েছে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা সচিব গ্রান্ট শ্যাপস বলেছেন, জাহাজগুলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন কৃষ্ণ সাগরে রপ্তানিপথ পুনরায় খুলতে সহায়তা করবে। কিন্তু কীভাবে জাহাজ দুটি কৃষ্ণ সাগরে প্রবেশ করবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে।
প্রতিরক্ষা সচিব বলছেন, ইউক্রেনকে দীর্ঘমেয়াদে সমর্থন করতে নরওয়ের সঙ্গে জোট বেঁধেছে যুক্তরাজ্য। রাশিয়ার আগ্রাসন থেকে যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি ইউক্রেনকে রক্ষা করতে চায় নরওয়ে।
গ্রান্ট শ্যাপস বলেছেন, যুক্তরাজ্য, নরওয়ে ও আমাদের মিত্ররা ইউক্রেনের সামুদ্রিক সক্ষমতাকে শক্তিশালী করার জন্য একটি নতুন প্রচেষ্টা শুরু করেছে। ব্রিটিশ নৌবাহিনী ইউক্রেনীয় ক্রুদের কীভাবে জাহাজগুলো ব্যবহার করতে হয়, সে বিষয়ে আগেই প্রশিক্ষণ দিয়েছে। তবে কৃষ্ণসাগরে প্রবেশ নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে।
গত ছয় মাসে ক্রিমিয়াতে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগরের নৌবহরকে লক্ষ্য করে ইউক্রেন ড্রোন ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার সফলভাবে করেছে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণ করার পর রাশিয়ার নৌবাহিনী দেশটির কৃষ্ণসাগরীয় বন্দরগুলো অবরোধ করে, যার ফলে শস্য রপ্তানিতে জটিলতায় পড়ে কিয়েভ। ওই সময় ইউক্রেনের ২০ মিলিয়ন টন শস্য বন্দরগুলোতে আটকা পড়ে। ইউক্রেন সূর্যমুখী তেল, বার্লি, ভুট্টা ও গমের মতো ফসলের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম সরবরাহকারী।
২০২২ সালের জুলাইয়ে, তুরস্ক ও জাতিসংঘের মধ্যস্থতায় একটি চুক্তিতে সম্মত হয়। যেখানে বলা হয়েছিল ইউক্রেন তার কৃষ্ণসাগর বন্দর থেকে নিরাপদে শস্য রপ্তানি করতে পারবে। চলতি বছরের জুলাইয়ে সেই চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয় রাশিয়া।
এদিকে, ইউক্রেনকে সহায়তা করা নিয়ে মার্কিন সিনেটের সঙ্গে বাইডেনের সংঘাত চলছে। ইউক্রেন ও ইসরায়েলকে দেওয়ার জন্য ১০ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের প্যাকেজের এখনো অনুমোদন দেয়নি মার্কিন সিনেট। এ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রে আসছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। বাইডেনের সঙ্গে সামরিক ও আর্থিক সাহায্যের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন তিনি।