ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যায় ঘাতক দলের অন্যতম দুই পলাতক আসামি ফয়সাল ও মোস্তাফিজ। তাদের গ্রেপ্তারে খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডিবিপ্রধান হারুন-অর-রশীদ।
বুধবার দুপুরে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র একাত্তরকে এ খবর জানিয়েছে। সূত্রটি জানায়, দুপুর থেকে খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ে হেলিকপ্টার দিয়ে সাঁড়াশি অভিযান চলমান রয়েছে।
ওই সূত্র জানায়, ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে ডিবির একাধিক টিম এমপি আনার হত্যার ঘাতক দলের অন্যতম দুই পলাতক আসামি ফয়সাল ও মোস্তাফিজকে ধরতে খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন পাহাড়ে হেলিকপ্টার দিয়ে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
ডিবি সূত্র বলছে, সন্দেহভাজন আসামিদের মধ্যে মোস্তাফিজুর ও ফয়সাল সংসদ সদস্য খুন হওয়ার আগে গত দুই মে কলকাতায় যান। তারা দেশে ফিরে আসেন ১৯ মে। এই দুই জনকে হন্য হয়ে খুঁজছিল ডিবি। দুই জনের বাড়ি খুলনার ফুলতলায়। খুনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী হিসেবে চিহ্নিত শিমুল ভূঁইয়ার বাড়িও একই এলাকায়।
এদিকে আনার হত্যায় অন্যতম অভিযুক্ত জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবুকে সঙ্গে নিয়ে তার তিনটি ফোন উদ্ধারে ঝিনাইদহে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।
গোয়েন্দাদের ধারণা, ওই তিনটি মোবাইল উদ্ধার করা গেলে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা রহস্যের অনেক তথ্যাদি মিলবে। কারণ, ওইসব মোবাইল থেকেই গ্যাস বাবু আনার হত্যার অন্যতম অভিযুক্ত চরমপন্থি নেতা শিমুল ভূঁইয়া ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন।
বুধবার সকালে ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক আযমের নেতৃত্বে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। মোবাইল উদ্ধারে পুকুরে নামানো হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ও পেশাদার জেলেদের। সঙ্গে ফেলা হচ্ছে মাছ ধরার জাল। কারাগার থেকে গ্যাস বাবুকেও ঘটনাস্থলে নেওয়া হয়েছে।