সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনায় দুই পলাতক আসামি ফয়সাল আলী সাজি ও মোস্তাফিজ ‘হিন্দু সেজে’ খাগড়াছড়িতে লুকিয়ে ছিলেন।
বুধবার দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত খাগড়াছড়ির পাতাল কালীমন্দির দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় হেলিকপ্টার দিয়ে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবি জানায়, নাম-পরিচয় গোপন করে খাগড়াছড়ির পাতাল কালীমন্দির এলাকায় হিন্দু সেজে লুকিয়ে ছিলেন ফয়সাল ও মোস্তাফিজ। তারা পলাশ রায় ও শিমুল রায় নাম নিয়ে ২৩ দিন ওই কালীমন্দিরে ছিলেন।
বুধবার রাতে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার খবর পাওয়া যায় খাগড়াছড়ি দুর্গম পাহাড়ে লুকিয়ে রয়েছে পলাতক ফয়সাল ও মোস্তাফিজ। খবর পেয়ে ডিবির একটি টিম আগেই পাহাড়ে গিয়ে অভিযান শুরু করে। পরে বুধবার আমরা গিয়ে হেলিকপ্টার দিয়ে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করি।
ডিবিপ্রধান বলেন, অজ্ঞান করার জন্য সংসদ সদস্য আনারের নাকে ক্লোরোফর্ম দেন ফয়সাল। আর মোস্তাফিজ চেয়ারে বেঁধে রাখে। কিলার শিমুল ভূঁইয়ার মূল দুই সহযোগী ছিলেন ফয়সাল ও মোস্তাফিজ।
হারুন জানান, সংসদ সদস্য আনারকে হত্যার পর ১৯ মে ফয়সাল ও মোস্তাফিজ দেশে ফেরেন। এরপর ১৯ মে রাতে আক্তারুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে কথা হয় ফয়সাল ও মোস্তাফিজের। এরপর শাহীন তাদেরকে মাত্র ৩০ হাজার টাকা দেয়। এরপর তারা দুর্গম পাহাড়ের ওই কালীমন্দিরে চলে যায়।
হারুন বলেন, কলকাতার যে ফ্ল্যাটে সংসদ সদস্য আনারকে হত্যা করা হয় সেই কিলিং মিশনে ছিলেন সাতজন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত শিমুল ভূঁইয়ার পরে দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্যক্তি হলো ফয়সাল ও মোস্তাফিজ। হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারুজ্জামান শাহীনকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা আমাদের এখন মূল কাজ। এছাড়া এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও যারা জড়িত তাদের প্রত্যেককে আমার আইনের আওতায় আনবো। বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালে মিলিয়ে মোট নয়জন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে।