ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে নিয়ে বিধ্বস্ত হওয়া হেলিকপ্টারের খোঁজ মিলেছে। ইরানের রেড ক্রিসেন্টকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য দিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সোমবার সকালে আল জাজিরার খবরে বলা হয়, রেড ক্রিসেন্ট প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গীরা বেঁচে আছেন কি না সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি।
এক বিবৃতিতে রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রেড ক্রিসেন্টের অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল।
এর আগে প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে নিয়ে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার স্থানে তাপের উৎস শনাক্ত করে তুরস্কের একটি ড্রোন। তুরস্ক সে সময় জানায়, হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ থেকে এমনটা আসা সম্ভব।
সিএনএনের খবরে বলা হয়েছে, অন্তত ৭৩টি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে কাজ করছে।
ইরানের স্থানীয় গণমাধ্যম ও দেশটির কয়েকটি টেলিগ্রাম গ্রুপে কয়েকটি ছবি দেখা গেছে, যেখানে একটি ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করা যাচ্ছে।
রোববার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান ইব্রাহিম রাইসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন।
সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা।
পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে হয়েছে, মূলত বৈরী আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেছেন, যা–ই ঘটে থাকুক না কেন, রাষ্ট্র পরিচালনার কাজে কোনো ধরনের ব্যাঘাত ঘটবে না। ইরানের পারমাণবিক প্রকল্প ও পররাষ্ট্রনীতির বিষয়ে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত খামেনির কাছ থেকেই আসে।