ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহীম রাইসিসহ সব আরোহীর মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শেষ হলো প্রায় ১৯ ঘণ্টারও বেশি রুদ্ধশ্বাস সেই উদ্ধার তৎপরতা। সবাইকে উদ্ধার করে নেওয়া হচ্ছে তাবরিজ শহরে। এই দৃশ্য দেখে ইরানসহ পুরো মুসলিম বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে শোকের মাতম।
সোমবার টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক মন্তব্যে ইরানের রেড ক্রিসেন্ট সংস্থার প্রধান পীর হোসেইন কোলিভান্দ জানান, মরদেহ উদ্ধারের পর ব্যাপক তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়েছে। রেড ক্রিসেন্ট প্রধান রাষ্ট্রীয় টিভিকে আরও জানান, আমরা নিহতদের মরদেহ তাবরিজে স্থানান্তরের কাজ শুরু করেছি।
হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্ট রাইসি ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রাহমাতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন। আজারবাইজানে একটি জলাধার প্রকল্প উদ্বোধনের পর পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন তারা।
রোববার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান ইব্রাহিম রাইসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা।
পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুইটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছালেও কেন রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সাথে এমন ঘটনা ঘটলো তা নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। দুর্ঘটনা নাকি ষড়যন্ত্র তা নিয়েও চলছে বিচার-বিশ্লেষণ।