ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে নিয়ে বিধ্বস্ত হওয়া হেলিকপ্টারের খোঁজ মিলেছে। হেলিকপ্টারের পুরো কেবিন উল্লেখযোগ্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে ইরানের রেড ক্রিসেন্ট। এ অবস্থা যদি প্রেসিডেন্টের মৃত্যু হয় তবে কী হবে?
ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় রাইসি মারা গেলে তার পদে বসবেন বর্তমান প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার। তবে এ ক্ষেত্রে দেশটির সর্বোচ্চ নেতার অনুমোদনের প্রয়োজন পড়বে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ইরানে রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে ভূমিকা পালন করেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। এরপরই ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের। তাকে সরকারের প্রধান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
প্রেসিডেন্ট মারা গেলে পরবর্তী ৫০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে এবং নতুন প্রেসিডেন্ট বেছে নিতে হবে।
২০২১ সালে রাইসি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ইরানে ২০২৫ সালে আবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হওয়ার কথা ছিলো।
রোববার আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান ইব্রাহিম রাইসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন।
সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা।
পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে হয়েছে, মূলত বৈরী আবহাওয়ার কারণে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলী খামেনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেছেন, যা–ই ঘটে থাকুক না কেন, রাষ্ট্র পরিচালনার কাজে কোনো ধরনের ব্যাঘাত ঘটবে না। ইরানের পারমাণবিক প্রকল্প ও পররাষ্ট্রনীতির বিষয়ে সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত খামেনির কাছ থেকেই আসে।