ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবেলায় কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। এখন পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড়ে দশজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
সোমবার ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল এসব তথ্য জানায়।
ঝড় শুরু হওয়ার পর থেকে দুইজনকে নিহত ও চারজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১১৪ গাছ অপসারণ করা হয়েছে। বিভিন্ন ফায়ার স্টেশনে ১৬৩ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
চট্টগ্রামের চন্দননগরে দেয়াল ধসে নিহত একজনকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। নিহতের নাম সাইফুল ইসলাম হৃদয়, তার বয়স আনুমানিক ২৬ বছর। এদিকে বরিশাল বিভাগের বাউফলে গাছচাপায় নিহত আব্দুল করিম খানের (৬৫) মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। এছাড়া আহত দুইজনকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকার কেরানীগঞ্জে ঝড়-বৃষ্টির কারণে উল্টে যাওয়া গাড়িতে চাপা পড়া দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এদের একজন পুরুষ, বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর, অপরজন মহিলা, বয়স আনুমানিক ৩৩ বছর।
চট্টগ্রাম বিভাগে ১৯টি গাছ রাস্তা থেকে এবং দুটি গাছ বাসাবাড়ি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। বরিশাল বিভাগে ৫৫টি গাছ রাস্তা থেকে এবং ১০টি গাছ অপসারণ করা হয়েছে। রাজশাহী বিভাগে ১০টি গাছ অপসারণ করা হয়েছে। আর রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন স্থানে রাস্তা থেকে অপসারণ করা হয়েছে ১৮টি গাছ।
বিকেল ৫টা পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস সারাদেশে ঝড়ে পড়া মোট ১১৪টি গাছ অপসারণ করেছে।
বরিশালের গলাচিপা ফায়ার স্টেশনে মোট ১২০ জনকে আশ্রয় দিয়েছে, এখনো সেখানে ৬৩ জন অবস্থান করছেন। এছাড়া একই বিভাগের বরগুনার পাথরঘাটা ফায়ার স্টেশনে ১৭ জন, ভোলা ফায়ার স্টেশনে ২০ জন এবং ইন্দুরকানি ফায়ার স্টেশনে ৬ জনসহ বিভিন্ন ফায়ার স্টেশনে মোট ১৬৩ জনকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।