পূর্ব খান ইউনিসে আবারও তাণ্ডব চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। ফলে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া এই নগরীতে ফিরে আসা ফিলিস্তিনিরা আবার পালাতে বাধ্য হচ্ছে। এদিকে খান ইউনিস শহরের নাসের হাসপাতালে আরও তিনটি গণকবর পাওয়া গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সবশেষ তথ্য মতে, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪ হাজার ১৫১ জনে।
গাজার দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরাইলে মাসে হঠাৎ করেই বেশির ভাগ স্থলসেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছিলো। ফলে বাড়িঘরের খোঁজে গাজার বাসিন্দারা উপত্যকাটির দ্বিতীয়-বৃহত্তম খান ইউনিস শহরে ফিরতে ফেরা শুরু করে।
তবে ভাঙা কুটিরে আর আশ্রয় নেয়া হলো না তাদের। ইতোমধ্যেই সেখানে আবারও হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। ফলে প্রাণভয়ে যেখান থেকে ফিরে এসেছিল আশ্রয়ের খোঁজে সেখানেই আবার ফিরতে হচ্ছে তাদেরকে।
এদিকে এদিকে খান ইউনিস শহরের নাসের হাসপাতালে আরও তিনটি গণকবর পাওয়া গেছে। এসব গণকবর থেকে আরও ৭৩টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর ফলে নাসের হাসপাতালের আঙিনার চারটি গণকবর থেকে এখন পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া মোট লাশের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৩টি।
এছাড়া নুসেইরাত শরণার্থী শিবির ও দক্ষিণ গাজার রাফাহসহ উপত্যকাজুড়ে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে আরও অন্তত ২৪ বেসামরিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যার মধ্যে ২২ জনই নারী ও শিশু।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তার দেশের সেনাবাহিনীর ওপর কোনও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে, ইসরাইল তা প্রত্যাখ্যান করবে।
এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিলো, অধিকৃত পশ্চিম তীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর নেৎজা ইয়েহুদা ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, হামাসের বিরুদ্ধে অভিযানে যুক্তরাষ্ট্র গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে অভিযানে ইসরাইলের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখবে যুক্তরাষ্ট্র।