রাতে আকাশ আলো করে ইসরাইলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে যখন ইরানের একেকটি ক্ষেপণাস্ত্র ধেয়ে যাচ্ছিলো, এর আঘাত থেকে বাঁচতে ইসরাইলিরা যখন মাটির নিচের টানেলে, তখন এই হামলা উদযাপন করেছে গাজাবাসী। ধ্বংসাত্মক অস্ত্রের ঝলকানিতে তাদের বুকে যেন নতুন সাহস ভর করেছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এমনই একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ওই ভিডিওর শুরুতেই দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ একটি স্থান থেকে ছুটতে থাকা ক্ষেপণাস্ত্রের ঝাঁকের দিকে নজর রাখছেন একজন ফিলিস্তিনি। পাশ থেকেই ভেসে আসে উল্লসিত এক কণ্ঠস্বর। যিনি প্রশংসা জানাচ্ছেন মহান রবের প্রতি।
হামলার সময় ঘরে বসে থাকেনি গাজার শিশুরাও। যে ইসরাইলের জন্য তারা ঘরছাড়া, সেই ইসরাইলি ভূখণ্ডে চালানো হামলার দৃশ্য দেখতে তাই তো হাসপাতালের গেটের ওপর ভিড় জমিয়েছিল কচিকাঁচারাও।
ইরানের এ হামলার দৃশ্য দেখতে শিশুদের সঙ্গে গাজার সড়কে নেমে এসেছিলেন নারীরাও। হিজাবে ঢাকা তাদের কাউকে কাউকে উচ্ছ্বাস প্রকাশে হাততালি দিতেও দেখা যায়। স্বাভাবিকভাবেই ঘরে থাকেনি গাজার সাহসী যুবকরা। তাদের উল্লাসের মাত্রাটাও ভিন্ন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাতে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালায় মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী দেশ ইরান। ইসরাইলি গুপ্তহত্যার প্রতিশোধ নিতে এ হামলা।
তবে পাল্টা প্রতিশোধের হুমকিও দিয়েছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। থেমে থাকেননি ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনিও। তিনিও আরও ব্যাপক আকারে হামলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। এ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক যুদ্ধের দামামা বাজছে।