ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের অভিযানে কমপক্ষে আট দখলদার নিহত এবং ২০ জন আহত হয়েছে। এদিকে ইসরাইল ভূখণ্ড লক্ষ্য করে শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান।
তেহরানভিত্তিক প্রেসটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইসরাইলের বাণিজ্যিক রাজধানীতে বন্দুক অভিযান চালায় একদল ফিলিস্তিনি যোদ্ধা। এতেই হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলের ফুটেজে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের একটি রেল স্টেশনে নেমে গুলি চালাতে দেখা গেছে। তবে তাদের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তেল আবিব।
হামলার পরপরই বেশ কয়েকজন আহতকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে ইসরাইলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইল বলছে, এ হামলায় এখন পর্যন্ত ছয়জন নিহত হয়েছে।
ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস এবং অন্যান্য প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো বলছে, এই আক্রমণ গাজায় ইসরাইলের বর্বরতার "স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া" মাত্র।
এদিকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইসরাইলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে শত শত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। এরইমধ্যে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরাইলে আঘাত করলেও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তাৎক্ষণিক কিছু জানা যায়নি।
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলছে, এদিন ইসরাইল ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ১৮০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে ইরান। এরইমধ্যে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ভূপাতিত করার দাবি করা হলেও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি দখলদার বাহিনী।
এর আগে ইরান দখলদার ইসরাইলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং যেকোনো মুহূর্তে হামলা চালাতে পারে বলে মঙ্গলবার আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে এ ধরনের কোনো হামলা হলে তা তেহরানের জন্য ‘গুরুতর’ পরিণতি বয়ে আনবে বলে সতর্ক করেছে ওয়াশিংটন।
মধ্যপ্রাচ্যের কসাই খ্যাত ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার ইরানের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছিলেন, মধ্যপ্রাচ্যের এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে ইসরাইল পৌঁছাতে পারবে না।
ইসরাইলে ইরান হামলা চালালে তা মধ্যপ্রাচ্যে বৃহত্তর আঞ্চলিক সংঘাতের আশঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে মনে করছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এসব আশঙ্কার মধ্যেই ইসরাইলে একইসাথে হামলা চালালো তেহরান ও ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা।