হিজবুল্লাহ নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসারুল্লাহর মরদেহ বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলিতে ইসরাইলি বিমান হামলার স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তা অক্ষত রয়েছে বলে রোববার রয়টার্সকে একটি মেডিকেল সূত্র এবং একটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে।
শনিবার হিজবুল্লাহর বিবৃতিতে নাসারুল্লাহর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করা হলেও সেখানে তিনি ঠিক কিভাবে নিহত হয়েছেন, তা বলা হয়নি। তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার বিষয়েও ওই বিবৃতিতে কোনও উল্লেখ ছিলো না।
তবে, দুইটি সূত্রই বলেছে, তার শরীরে সরাসরি কোনও ক্ষত নেই। তার মৃত্যুর কারণ বিস্ফোরণের শক্তি থেকে ভোঁতা আঘাত ছিলো বলে মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার লেবাননের রাজধানী বৈরুতের দক্ষিণ উপকণ্ঠে হিজবুল্লাহ-নিয়ন্ত্রিত দক্ষিণ শহরতলির দাহিয়েহ এলাকায় ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। ওই এলাকার একটি আবাসিক ভবনের নিচে গোষ্ঠীটির ভূগর্ভস্থ সদর দপ্তরে চালানো ‘লক্ষ্যনির্ভর হামলায়’ নাসারুল্লাহ নিহত হয়েছেন।
বিগত ৩২ বছর ধরে ইরান-সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীটির নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন নাসারুল্লাহ। এই সময়ে হিজবুল্লাহ একটি আঞ্চলিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। ফলে তার মৃত্যু শুধু হিজবুল্লাহর জন্য নয়, ইরানের জন্যও একটি বিশাল আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহপ্রধান নেতা সাইয়্যেদ হাসান নাসারুল্লাহর নিহতের ঘটনায় শনিবার ইরান জুড়ে পাঁচ দিনের শোক ঘোষণা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। শোক ঘোষণাকালে খামেনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘প্রতিশোধ ছাড়া শত্রুদের ছেড়ে দেওয়া হবে না। নাসারুল্লাহর আদর্শকে নির্মূল করা যাবে না।’