পই পই করে ইসরাইলের খুনে নেতা বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে না করা হয়েছিলো গাজা উপত্যকার ‘লাইফ লাইন’ হিসাবে বিবেচিত রাফাহ শহরে অভিযান না চালাতে। কিন্তু কথা শোনেননি তিনি।
মধ্যপ্রাচ্যের ‘কসাই’ হিসাবে খ্যাত নেতানিয়াহু ঠিকই তার পূর্বপকল্পিত অভিযান চালালেন সেখানে। রাফাহ শহরের শরণার্থীদের নির্দিয়ভাবে হত্যা করে করে বলছেন, ভুল হয়েছে। এ যেন ভূতের মুখে রাম নাম।
ইসরাইলি গোলায় প্রতিদিন যখন ডজন ডজন ফিলিস্তিন নাগরিকের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে, তখন ঘাতকদের সবচেয়ে বড় দোসর যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইসরাইলের রাফাহ অভিযান সীমা লঙ্ঘন করেনি। হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র জন কিরবির এমন মন্তব্যে অবাক তাকিয়ে পৃথিবী। অথচ, রাফাহতে অভিযান না চালানোর জন্য ইসরাইলকে চাপ দিয়ে যাচ্ছিলো দেশটি। একেই মনে হয় বলে, মাছের মায়ের পুত্র শোক।
তবে ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের নষ্ট চোখে, নিরীহ মুসলিম নিধন ধরা না পড়লেও, বিশ্ব কিন্তু ঠিকই তাকিয়ে আছে গাজার রাফাহ শহরের দিকে। তাই তো সামাজিক মাধ্যমেই চোখ দিলেই দেখা যাচ্ছে, একটি বাক্য- ‘অল আইজ অন রাফাহ’। অর্থাৎ, সবার চোখ রাফাহ’তে। বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ রাফাহতে আশ্রয় নেয়া ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে যে পোস্ট করছে সেখানেই আছে ‘অল আইজ অন রাফাহ’।
রোববার রাতে দক্ষিণ গাজার রাফাহ শহরে শরণার্থী শিবিরে ইসারাইলি মিসাইলে নিহত হয় ৪৫ জন। মৃতদের মধ্যে রয়েছে শিশুরাও। এ হামলার পর নেতনিয়াহুর সূর চড়িয়ে বলেছেন, এটি ‘দুঃখজনক ভুল’। শুরুতে ইহুদি সেনা দাবি করেছিল, হামাস ঘাঁটিতে সফল অভিযানে চালানো হয়েছে। এই হামলা ঘিরে নিন্দায় সরব বিশ্ব। আর তার পর থেকেই ট্রেন্ডিং ‘অল আইজ অন রাফাহ’।
এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বন্ধের ডাক দিয়েছেন অনেকেই। কবে যুদ্ধ থামবে সেই অপেক্ষায় সারা বিশ্বের শান্তিকামী মানুষ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত লড়াই থামার কোনও লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। দেশের মাটিতেও কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন নেতানিয়াহু। নিজের দেশেই প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীকে। তার জনপ্রিয়তা এখন তলানিতে। সেই সঙ্গে নেতানিয়াহুর সঙ্গ ছাড়তে শুরু করেছেন তারই দলের নেতারা।