গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন- হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার পর থেকেই ইসরাইলের অর্থনীতি বড় ধরনের সংকটের মুখে আছে। যুদ্ধের ব্যয় মেটাতে প্রতিদিন গচ্চা দিতে হচ্ছে লাখ লাখ ডলার। দেশটিকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। এই ধারায় আরেকটি বড় ধাক্কা খেয়েছে দেশটি।
গাজা যুদ্ধের কারণে ইসরাইলের একটি জলবায়ু প্রকল্প থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি জেফ বেজোসের প্রতিষ্ঠান বেজোস আর্থ। জলবায়ু ভারসাম্য রক্ষায় বিকল্প প্রোটিন উৎপাদনের একটি প্রকল্পে ৩০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেজোস আর্থ।
ইসরাইলের টেকনিওন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এবং হিব্রু ইউনিভার্সিটি উভয়ই গেলো বছর বেজোস আর্থের কাছে বিকল্প প্রোটিন উৎপাদনের একটি প্রস্তাব জমা দেয়। প্রাথমিকভাবে বেজোসের প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্প নিয়ে আগ্রহ দেখালেও সম্প্রতি জানিয়েছে, যুদ্ধের কারণে আপাতত তারা বিনিয়োগে যাচ্ছে না।
বেজোস আর্থের ফিউচার অব ফুডের ডিরেক্টর অ্যান্ডি জার্ভিস গেল সেপ্টেম্বরে ইসরাইলে গিয়েছিলেন এবং টেকনিওন এবং হিব্রু ইউনিভার্সিটির গবেষকদের সাথে দেখা করেন। সেখানে জার্ভিস জানান, বেজোস আর্থ পাঁচ বছরে গবেষণায় ৭০ মিলিয়ন ও প্রকল্পে ১০০ মিলিয়ন বিনিয়োগ করতে চায়।
কিন্তু ফিরে গিয়ে জার্ভিস ইসরাইলের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি মেইলের মাধ্যমে জানান, গাজা যুদ্ধের কারণে মধ্যপ্রাচ্যে যে অনিশ্চয়তার পরিবেশ তৈরি হয়েছে তাতে করে বেজোস আর্থ এই মুহূর্তে বিনিয়োগে আগ্রহী নয়। পরিস্থিতির উন্নতি হলে আবারও যোগাযোগ করা হবে।
বিশ্বের যেসব দেশ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে তাদের মধ্যে অন্যতম। বিকল্প প্রোটিন তৈরির গবেষণায় তারা অনেক দূর এগিয়েও গেছে। এমন সময়ে বেজোস আর্থের সিদ্ধান্তে দেশটি খুবই হতাশ। হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি ও পানি বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক বেনি শেফেটজ বলেন, এই প্রথম আমরা যুদ্ধের কারণে এমন নির্লজ্জ প্রত্যাখ্যানের মুখোমুখি হতে হলো। একই ধরনের হতাশা জানিয়েছে টেকনিওনও।