ইসরাইলের হামলায় গাজা উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ৭২৪ জন শিশু নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে নজিরবিহীন হামলা চালায়। জবাবে গাজায় পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। সবশেষ পাওয়া খবরে এখন পর্যন্ত দুই হাজার ৩২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
এদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে এখন পর্যন্ত চলমান যুদ্ধে দেশটির এক হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছে। ওই দপ্তরের মুখপাত্র তাল হেইনরিখ জানিয়েছেন, তাদের ১২০ জন নাগরিককে অপহরণ করা হয়েছে।
আল জাজিরা জানিয়েছে, হামাসের হামলায় ২৮৬ জন সৈন্য নিহত হয়েছেন।
এদিকে নিরবচ্ছিন্ন বোমাবর্ষণের মধ্যেও সামরিক তৎপরতা অব্যাহত থাকায় ইসরাইল গাজার সীমান্ত বেড়ায় ট্যাংক ও অস্ত্র মোতায়েন করেছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলেছে লেবানন থেকে হিজবুল্লাহর ক্ষেপনাস্ত্র হামলায় এক ইসরাইলি নিহত হওয়ায় তারা পাশের দেশটির বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানছে। ইরান যখন গাজার বিরুদ্ধে ইসরাইলে ‘যুদ্ধাপরাধ’ বন্ধে করার আহ্বান জানিয়েছে তারপরেই লেবাননে এই হামলা ঘটনা ঘটলো।
জাতিসংঘের শরণার্থীদের বিষয়ক সংস্থা জানিয়েছে ইসরাইলের সঙ্গে সংঘর্ষের প্রথম সাত দিনে আনুমানিক ১০ লাখ গাজাবাসী বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধে আগ্রহী নয় ইসরাইল
এদিকে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেছেন তার দেশ তার উত্তর ফ্রন্টে (লেবানন) যুদ্ধ করতে আগ্রহী নয়। তিনি বলেছেনম তার দেশ সীমান্তে পরিস্থিতি আগের মতোই রাখবে।
আল জাজিরা জানিয়েছে সাংবাদিকদের গ্যালান্ট বলেছেন, উত্তরে যুদ্ধে আমাদের কোনো আগ্রহ নেই। আমরা পরিস্থিতির বিস্তার চাই না।
তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, হিজবুল্লাহ যদি যুদ্ধের পথ ভেছে নেয় তবে তাদের অনেক বড় মূল্য দিতে হবে। তবে যদি তারা নিজেদের সংযত রাখে তবে আমরা পরিস্থিতি যেমন আছে তেমন রাখবো। তবে গ্যালান্ট স্বীকার করেছেন, ওই সীমান্তে হিজবুল্লাহর সঙ্গে তাদের বাহিনীর গুলি বিনিময় হয়েছে।
হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, তারা লেবানন থেকে দুটি ইসরাইলি বসতিতে ২০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে।
আলাদাভাবে লেবাননের হিজবুল্লাহও জানিয়েছে, তারা ইসরাইলের হানিতায় সেনাছাউনি লক্ষ্য করে মিসাইল ছুঁড়েছে। ক্ষেপনাস্ত্রে হতাহতের ঘটনার কথাও জানিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠীটি।
এদিকে ইসরাইলের জ্বালানিমন্ত্রী ইসরায়ের কাটজ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তাার দেশের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজার দক্ষিণ অংশে পানি সরবরাহ আবার শুরু করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন।
আল জাজিরা জানায় গাজার দক্ষিণের দুটি শহর ফুখারি এবং দেইর এল-বালাহতে স্থানীয় সময় বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত পানি ছিলো না।