ইসরাইল ও গাজার মধ্যবর্তী কেরেম শালোম সীমান্ত ক্রসিংয়ে রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এ হামলায় ইসরাইলের তিন সেনার মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েকজন।
অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে চলমান যুদ্ধের মধ্যেই নতুন করে এ হামলা চালালো হামাস।
সোমবার বিবিসির খবরের বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকার ভেতর থেকে হামাসের রকেট হামলার পর ইসরাইল গাজায় কেরাম শালোম ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে।
গত দুইদিন ধরে মিশরের মধ্যস্থতাকারীরা গাজায় যুদ্ধবিরতি নিতে আলোচনা হচ্ছে। যেখানে হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তি এবং অন্যান্য বিষয়ে কথা চলছিলো।
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, তারা কেরেম শালোম ক্রসিংয়ে হামলা চালিয়েছে এবং স্বল্প-পাল্লার রকেট দিয়ে ইসরাইলি সৈন্যদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।
অন্যদিকে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বলেছে, কেরেম শালোম থেকে প্রায় ৩.৬ কিলোমিটার (২.২ মাইল) দক্ষিণে গাজার রাফাহ ক্রসিংয়ের কাছে একটি এলাকা থেকে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।
আইডিএফ আরও বলেছে, একটি বেসামরিক আশ্রয়কেন্দ্রের প্রায় ৩৫০ মিটার দূরে অবস্থিত একটি স্থাপনা থেকে এসব রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার চুক্তির বিষয় প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, ইসরাইল রাষ্ট্র (হামাসের এই দাবি) মেনে নিতে পারে না, আমরা এমন পরিস্থিতি মেনে নিতে প্রস্তুত নই যেখানে হামাস ব্রিগেডগুলো তাদের বাঙ্কার থেকে বেরিয়ে আসবে এবং আবারও গাজার নিয়ন্ত্রণ নেবে, তাদের সামরিক অবকাঠামো পুনর্নির্মাণ করবে এবং ইসরাইলের নাগরিকদের জন্য হুমকি হয়ে উঠবে।
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মতে, এমনটি করলে তা হবে ইসরাইলের জন্য ভয়ংকর পরাজয়।
হামাস গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে হামলা চালায়। এ সময়ে ১২০০শ’র বেশি ইসরাইলি নিহত এবং প্রায় ২৫০ জনকে জিম্মি করা হয়। ইসরাইল একইদিন রাত থেকে গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে। অব্যাহত এ হামলায় এ পর্যন্ত ৩৪ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭৭ হাজার ৯০০ জন আহত হয়েছে।
এদিকে হামাস যাদের অপহরণ করেছিলো তার মধ্যে ১২৮ জনের খবর এখনও পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, এরমধ্যে অন্তত ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।