অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি আগ্রাসন ও গণহত্যা শেষ করার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী হামাস নেতাদের হত্যা করার পরিকল্পনা করছে তেল আবিব। ইসরাইলি গোয়েন্দাদের বরাতে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করেছে মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
শুক্রবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দৈনিকটি জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু নির্দেশে মোসাদসহ ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো লেবানন, তুরস্ক ও কাতারসহ অন্যান্য পারস্য উপসাগরীয় দেশে বসবাসরত হামাস নেতাদের হত্যা করার জন্য তালিকা তৈরির কাজে হাত দিয়েছে।
ইসরাইল বলছে, গাজা উপত্যকায় চলমান সংঘাতে হামাস পরাজিত হবে এবং হামাস সরকারের সব নেতা ও যোদ্ধা নিহত হবে। এরপর বাকি থাকবে কেবল প্রবাসী হামাস নেতারা। তখন তাদের হত্যা করা হবে।
যদিও হামাস বলেছে, এ যুদ্ধে ইসরাইলি সেনারা অপমানজনকভাবে হারবে এবং গাজা উপত্যকা ত্যাগ করবে।
মার্কিন দৈনিকটি আরও জানিয়েছে, প্রবাসী হামাস নেতাদের হত্যা করা হবে কিনা- ইসরাইলি নেতাদের সামনে এখন আর সে প্রশ্ন নেই বরং তারা এখন এই প্রশ্ন নিয়ে কাজ করছে যে, কবে ও কোথায় তাদেরকে হত্যা করা হবে।
এর আগে নভেম্বর মাসের শেষদিকে এক বক্তব্যে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী হামাস নেতাদের হত্যার আভাস দিয়ে বলেন, হামাস নেতারা বিশ্বের যেখানেই থাকুক তাদের হত্যা করার জন্য তিনি মোসাদকে নির্দেশ দিয়েছেন।
অবশ্য ইসরাইলের সর্বশেষ পরিকল্পনাটি সবার সমর্থন লাভ করতে ব্যর্থ হবে বলে জানিয়েছেন মোসাদের সাবেক পরিচালক এফরাইম হেলভি।
তিনি বলেন, ইসরাইলের এই ধরনের কর্মকাণ্ডের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতি হতে পারে এবং অঞ্চলটিকে আরও অস্থিতিশীল করতে পারে।
ইরানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম পার্সটুডে বলছে, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে অন্য দেশে বসবাসরত ফিলিস্তিনি নেতাদের হত্যা করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে ইসরাইলের।
তবে গুপ্ত হামলায় সব সময় সফল হয়নি মোসাদ। ১৯৯০ এর দশকেও লেবাননের রাজধানী বৈরুতে হামাস নেতা খালেদ মিশালকে হত্যা করতে যায় ইসরাইলি গোয়েন্দারা, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা ব্যর্থ হয়।