গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের মধ্যেই দখল করে রাখা পশ্চিমতীরে ব্যাপক অভিযান শুরু করেছে ইসরাইল। অঞ্চলটির উত্তরাঞ্চলে ইসরাইলি বাহিনীর নৃশংস হামলায় ১১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে আল ফারা শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলায় প্রাণ গেছে পাঁচ জন। খবর এএফপি।
এছাড়াও জেনিন শহরে ড্রোন হামলায় নিহত হয়েছেন আরও অন্তত ছয় জন। এক বার্তায় ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, তুলকারম ও জেনিন শহরে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সময় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমতীরে ইসরায়েলি বাহিনীর এটিই সবচেয়ে বড় অভিযান।
এদিন একই সাথে জেনিন, নাবলুসসহ চারটি শহরে একযোগে অভিযান চালায় ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনী। শহরগুলোর শরণার্থী শিবিরসহ হাসপাতালেও হামলা চালায় সেনারা। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে আরও চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১৫ জন।
বুধবার ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা পশ্চিম তীরের জেনিন ও তুলকারেমে 'সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান' চালাচ্ছে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল ক্যাটজ জানান, মঙ্গলবার রাত থেকে সেনারা পূর্ণ মাত্রায় অভিযান চালাচ্ছে। এই দুই শহরে ইরানের পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত জঙ্গি অবকাঠামো ধ্বংস করা হচ্ছে।
তিনি দাবি করেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়তে ইরান পশ্চিম তীরে পূর্বাঞ্চলীয় ফ্রন্ট তৈরি করছে। তারা গাজা ও লেবানন মডেল অনুসরণ করছে। সন্ত্রাসীদের তহবিল দিচ্ছে এবং তাদের জন্য জর্ডান থেকে চোরাকারবার করে অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে আসছে।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের অপ্রত্যাশিত হামলার মাধ্যমে গাজার যুদ্ধের সূত্রপাত হয়। তখন থেকেই বিচ্ছিন্নভাবে হলেও, পশ্চিম তীরে নিয়মিত সহিংসতার ঘটনা ঘটে আসছে। অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত পশ্চিম তীরে ইসরাইলি সেনা ও অবৈধ দখলদারদের হাতে ৬৫০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে এই তথ্য পেয়েছে এএফপি। একই সময়ে ১৯ ইসরায়েলি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিম তীরে নিয়মিত অভিযান চালালেও ১৯৬৭ সালের পর এতো বড় আকারে, একাধিক শহরে অভিযান চালায়নি ইসরাইল।