অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী অভিযানে অংশ নিতে স্থায়ী নাগরিকত্বের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আফ্রিকান শরণার্থীদের নিয়োগ করছে ইসরাইল। প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের বরাতে বিষয়টি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ।
যুদ্ধে আফ্রিকান শরনার্থীদের নিয়োগের ওই প্রকল্পটি প্রতিরক্ষা বিভাগের আইন উপদেষ্টাদের তত্ত্বাবধানে সংগঠিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে বলেও কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। খবর মিডল ইস্ট আই’র।
ইসরাইলে প্রায় ৩০ হাজার আফ্রিকান আশ্রয়প্রার্থী রয়েছেন যারা দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুসহ বিভিন্ন অভিবাসনবিরোধী রাজনীতিবিদদের চাপের মুখে আছেন। নেতানিয়াহু নিয়মিতভাবে তাদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ বলে আখ্যায়িত করে থাকেন।
এই প্রকল্পে শেষ পর্যন্ত যোগ না দেওয়া এক ব্যক্তি হারেৎজকে জানান, তাকে একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা যুদ্ধে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণের পর তাকে অন্যান্য আশ্রয়প্রার্থীদের সঙ্গে গাজায় মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছিলেন ওই কর্মকর্তা।
তিনি আরও জানান, বিনিময়ে কী পাবেন জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা তাকে বলেন, যদি তুমি যাও, ইসরাইল থেকে তুমি কাগজপত্র পেতে পারো। তিনি বলেছেন, যদিও আমি আসলে কিছু চাইছিলাম না।
হারেৎজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব আশ্রয়প্রার্থী শেষ পর্যন্ত চলমান যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, তারা কেউই এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে নাগরিকত্ব পাননি। শরণার্থীদের নিয়োগের নানা নৈতিক উদ্বেগগুলো এখনও সমাধান করা হয়নি বলে একটি প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সামরিক সূত্রটি বলেন, ‘এটি একটি সমস্যা। আইনজীবীদের জড়িত থাকা সত্ত্বেও, এটি এমন একটি মূল্যবোধের বিষয় যা ইসরাইলে আমাদের জীবনযাত্রার নৈতিকতা বিবেচনা করতে বাধ্য করে।’
ইসরাইলি সেনাবাহিনী কীভাবে শরণার্থীদের মোতায়েন করছে, তা প্রকাশের ওপর সামরিক নিষেধাজ্ঞা থাকায় এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারেনি বলেও জানিয়েছে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ।