ইসরাইল অধিকৃত অঞ্চলের হাইফায় তেল শোধনাগার লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরাকভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন দ্যা ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স ইন ইরাক (আইআরআই)। গাজা উপত্যকায় চলমান ইসরাইলি গণহত্যার বিরুদ্ধে ও ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে তারা এ হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী সংগঠনটি।
শনিবার ভোরে সামাজিকমাধ্যম টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে আইআরআই। তবে বরাবরের মতো এখন পর্যন্ত হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি তেল আবিব।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শনিবার ভোরবেলা ইরাকের ইসলামি প্রতিরোধ যোদ্ধারা অধিকৃত ভূমি হাইফাতে তেল শোধনাগারগুলোকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। গাজায় আমাদের জনগণের সমর্থনে এবং নিরস্ত্র ফিলিস্তিনি বেসামরিকদের বিরুদ্ধে ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিক্রিয়ায় এ হামলা চালানো হয়েছে। আমরা ইসরাইলি দখলদারিত্ব প্রতিরোধের দ্বিতীয় পর্বের অংশ হিসেবে শত্রুদের শক্ত ঘাঁটিতে আঘাত হানার ধারাবাহিকতা পুনর্ব্যক্ত করছি।
আরও বলা হয়েছে, গেলো বুধবার ইরাকি প্রতিরোধ বাহিনী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইসরাইলি বিমানঘাঁটির পাশাপাশি অধিকৃত অঞ্চলের কেন্দ্রীয় অংশের আশদোদ শহরকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
ইরানভিত্তিক প্রেসটিভি'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার প্রথম হামলায় প্রতিরোধ বাহিনীকে রামাত ডেভিড এয়ারবেসে আঘাত করার জন্য ড্রোন ব্যবহার করতে দেখা যায়। এটি ইসরাইলি শাসক গোষ্ঠীর সবচেয়ে উত্তরের ঘাঁটি যেখানে যুদ্ধবিমান এবং গানশিপ রয়েছে। আর দ্বিতীয় হামলায় আশদোদে একটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে যেটি একইভাবে ড্রোন ব্যবহার করে পরিচালিত হয়েছিলো।
এর আগে গেলো বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরাইলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইল। এ আগ্রাসনে ৩৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ।
চলমান এ গণহত্যার প্রতিবাদে ইরাক, ইরান, লেবানন, ইয়েমেনসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের একাধিক রাজনৈতিক সংগঠন ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
সংগঠনগুলো বলছে, গাজায় গণহত্যা বন্ধ না হলে ইসরাইলকে লক্ষ্য করে হামলা চলতে থাকবে।