দখলদার ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়ে কলম্বিয়া সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার হামাস সরকার।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বিশ্বের অন্য দেশগুলোকেও একই পথ অনুসরণের আহবান জানিয়েছে হামাস। ফিলিস্তিনের শেহাব বার্তা সংস্থার বরাতে এ খবর জানিয়েছে ইরানভিত্তিক পার্সটুডে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনে গণহত্যা অব্যাহত রেখে জায়নবাদী ইসরাইল আন্তর্জাতিক আইন ও রীতিনীতি লঙ্ঘন করছে। কলম্বিয়ার এই সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মত্যাগ এবং তাদের ন্যায্য অবস্থানের বিজয়।
এর আগে বুধবার গাজা উপত্যকায় গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর দায়ে ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেন কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো।
মে দিবস উপলক্ষে রাজধানী বোগোটায় এক শ্রমিক সমাবেশে তিনি বলেন, গাজায় যা চলছে তাতে কোনো দেশ নিষ্ক্রিয় থাকতে পারে না।
গত বছরের অক্টোবরে গাজায় হামলার পরপরই ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল লাতিনের দেশ বলিভিয়া। সে সময় কলম্বিয়া, চিলি ও হন্ডুরাসসহ দক্ষিণ আমেরিকার আরও কয়েকটি দেশ ইসরাইল থেকে তাদের রাষ্ট্রদূতদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিলো।
গেলো বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরাইলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান চালায় গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইল।
ইসরাইলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন ৮০ হাজারের বেশি মানুষ। এছাড়াও নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক হাজার গাজাবাসী।
এ গণহত্যা বন্ধের আহবান জানিয়ে জাতিসংঘ বলছে, ইসরাইলি আক্রমণের ফলে গাজার জনসংখ্যার ৮৫ শতাংশ খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। গাজার ৭০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
সংস্থাটি সতর্ক করে বলেছে, গাজার ২২ লাখ অধিবাসী দুর্ভিক্ষের ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে। দ্রুত ত্রাণ পৌঁছাতে না পারলে বিশ্বকে জবাবদিহি করতে হবে।